Skip to main content

Posts

Bigotry

Every 'ism' is good as long as it is in hand of rational people. But when irrational people start to use the 'ism' it begets violence and war. What is the point of being a scientist if I act like an extremist pretending that only our quest for the great question is right and their quest for the great question is wrong? There is no single answer for every question. Tolstoy once said that, if everyone fought for their own conviction, there would be no war. The task is however n ot so easy. Humans are naturally selfish and honestly speaking they wouldn't make it this far if they were not so. But as we have evolved as a rational being we need to practice to get rid of our own instinct and to stop dividing ourself on the basis of gender, religion, nation or any other group and to work together as an accumulated lifeform otherwise we will surely collapse. We must recognize our own fault that we are responsible for and stop blaming others. Accepting the fau...
Recent posts

সহমত ভাই!

হেগেল বলিয়াছেন, মানব সমাজ এরূপ বুদ্ধিমান যে তাহাদিগকে তোষামোদ না করিলে তাহারা বিশ্বাস করিতে চাহে না যে তাহারা মানুষ। তাত্ত্বিক সমাজ বিজ্ঞানী চার্লস হারটন কুলি এনাদের এই বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণকে আদর করিয়া নাম দিয়াছিলেন, 'লুকিং গ্লাস সেলফ' যাহাকে বঙ্গানুবাদ করিলে দাড়ায়, 'আপন চোখকে ভুলিয়াও বিশ্বাস করিবে না'। মানুষ বড়ই দুর্দান্ত এবং দুর্লভ প্রাণী বটে! জয় হউক মানবতার! Lang lebe die Menschheit! প্রচ্ছদ কৃতজ্ঞতাঃ @Cyanide and Hapiness

স্বার্থ

অখিল ভুবনে নীতি বলিয়া কোন কিছুর অস্তিত্ব নাই। যাহার অস্তিত্ব বিরাজমান তাহা হইল স্বার্থ। ইহা সত্ত্বেও কিছু সংখ্যালঘিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ নীতি নামক অপদার্থকে গলাধঃকরণ করিয়া ধ্বংস ও অস্তিত্তের দোলনায় পেন্ডুলামের মতো দুলিতে পছন্দ করিয়া থাকেন বলিয়া বোধ করি। আর বাকি রইল যাহারা, তাহাঁরা স্বার্থ নামক পদার্থকে গ্রহণ করিয়া নশ্বরতাকে আপন দুয়ারে আমন্ত্রণ করিয়া থাকেন। দুঃখজনক হইলেও ইহা সত্য যে মানব সন্তান ভুলিয়া যায়, দৈহিক মৃত্যুর পূর্বেই আত্মা মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিয়া থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে একাধিক বার করিয়া থাকে। পার্থক্য হইল এই যে, শারীরিক ভাবে মরিলে দেখিতে হয় না দেহে কেমন করিয়া পচন ধরিতেছে। তবে আত্মার পচন শুধু দেখিলেই চলে না, উপভোগও করিতে হয় বটে।

The Prince Charming

So, let's talk about Mr. Prince Charming. রাজকুমারীর রুপকথার গল্প গুলো পড়লে একটা বিষয় সব সময় ফুটে ওঠে তা হলো প্রত্যেকটা গল্পে একজন সুপুরুষ যুবরাজ থাকবে যে রাজকুমারীকে সমূহ বিপদের হাত থেকে বাঁচাবে এবং they will end up living happily forever! খুব ছোট বেলায় এই গল্প গুলো বাচ্চাদের মনে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয় আর কোন কারণে নয়, লিঙ্গ পরিচয়কে সমাজের প্রচলিত কাঠামোর আদলে গ্রহণ করে নেওয়ার জন্য। এর ইমপ্যাক্টটা হয় খুব মজার। প্রত্যেকটা ছেলে প্রেমে পড়লে সে মনে করে, তার ভালোবাসার মানুষটি প্রচ ণ্ড কষ্টে আছে এবং তাকে যে করেই হোক তার রাজকুমারীকে উদ্ধার করতে হবে। মেয়েরা সাধারণত এ ধরণের আবেগের প্রতি এক ধরণের পাল্টা আবেগ অনুভব করে এবং এককেন্দ্রিক গুরুত্বকে আপন করে নিয়ে প্রত্যাশিত ভুমিকা পালন করতে থাকে। সমস্যাটা হয় বিয়ে হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরে, যখন আকর্ষণটা কাটতে আরম্ভ করে কেননা মানব সম্প্রদায়ের জন্য যে কোন আকর্ষণের উপযোগ তার যোগানের পরিমাণের সাথে বিপরীত মুখী সম্পর্ক বজায় রাখে। অবশ্য একদম প্রগৈতিহাসিক সময়কাল থেকেই মানব সম্প্রদায়ের পুরুষ সদস্যদের প্রধান ভুমিকা ছিল খাদ্য সংগ্রহ এবং নিজের ...

প্রেম বিষয়ক কড়চা

"প্রতিটি সার্থক প্রেমের কবিতা বলতে বোঝায় যে কবি প্রেমিকাকে পায় নি, প্রতিটি ব্যর্থ প্রেমের কবিতা বোঝায় যে কবি প্রেমিকাকে বিয়ে করেছে।"  প্রেম কি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি রাজি নই। কেননা এর উত্তর লুকিয়ে আছে বস্তুবাদী দর্শনে। বস্তুবাদ আমাদেরকে শেখায় প্রেম কিছু জৈবিক তরল পদার্থের মিথস্ক্রিয়া। কিন্তু সহজ এই স্বীকারোক্তিতে রয়েছে ভয়াবহ এক বিসন্নতা, রয়েছে তুচ্ছতার গ্লানি। আর বস্তুবাদ মানেই মানবশ্রেষ্ঠতাকে ভূলুণ্ঠিত করে কদাকার সত্যকে গ্রহণ করে নেওয়া। কিন্তু আজ আমি কথা বলতে চাই প্রেমের সংজ্ঞা নিয়ে নয়, বরং প্রেমে পোড়ার অনুভুতি নিয়ে। জী হ্যাঁ, ওটা কোন টাইপো নয়, সরল-চিত্তে আমি পোড়া শব্দটি ব্যবহার করেছি। এর ব্যাখ্যা আমি অবশ্যই দিব। প্রেমের ব্যাপারে আগ্রহ নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তারচেয়েও কঠিন অবশ্য কোনদিন প্রেমে পড়েনি এমন একটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে খুঁজে বের করা। ছোটবেলার প্রেম তো আরও উত্তেজনাপূর্ণ। ‘লিট্যাল ম্যানহ্যাটেন’ দেখে ছোট বেলার প্রেম কল্পনাকে গ্রাস করে নেয়নি এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে।প্রেমকে অস্বীকার করার কিছু নেই। সবাই প্রেমকে আশা করে। সবাই প্রেমকে চাই। যার নেই সে...

সিক্স ডিগ্রিস অফ সেপারেসন

"১৯২৯ সালে ফির্গিস কারিন্থি নামক হাঙ্গেরিয়ান এক সাহিত্যিক "চেইন" বা শিকল নামে কিছুসংখ্যক ছোট গল্প নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। গল্পের নামকরণ হয় ওই বইয়েরই শিকল নামক একটি গল্পের নামকরণ অনুসারে। ওই গল্পে কারিন্থি প্রথম conceive বা কল্পনা করেন যে তখনকার পৃথিবীর ১৫০ কোটি মানুষের মধ্য থেকে যেকোন দুজন মানুষকে রেন্ডমলি পছন্দ করলে তাদের মাঝে সর্বোচ্চ ছয়জনের বন্ধুত্বের একটি শিকল তৈরী করে ওই দুইজনকে সংযুক্ত করা সম্ভব। এটাকে ইংরেজিতে বলে "সিক্স ডিগ্রীস অফ সেপারেশন"। এরপর ১৯৬৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্ট্যানলি মিলগ্রাম এক যুগান্তকারী এক্সপেরিমেন্ট করে "সিক্স ডিগ্রীস অফ সেপারেশন" তত্বের একটি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রদান করেন। মিলগ্রামের এক্সপেরিমেন্টের উদ্যেশ্য ছিল দুইজন মার্কিন নাগরিকের মাঝে ন্যূনতম দূরত্ব জানা। শুরুতেই উনি একজন টার্গেট মানুষ ঠিক করে ৫০০ মানুষ টেলিফোন বুক থেকে রেন্ডমলি পছন্দ করে সবার নামে একটি করে পোস্টকার্ড পাঠালেন। পোস্টকার্ডে ইন্সট্রাকশন ছিল "আপনি যদি টার্গেট ব্যক্তিকে সরাসরি চিনেন তাহলে উনার কাছে ...

ছফা সাহেবের পাগলামি

"আমি আমার যৌবনে হন্টন পীরের মতো একজনকে পেয়েছিলাম। আমরা দল বেঁধে তাঁর পেছনে হাঁটতাম। তিনি যদি কিছু বলতেন মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। গভীর রাতে নীলক্ষেত এলাকায় হাঁটতে হাঁটতে আবেগ অধীর হয়ে দুই হাত তুলে চিৎকার করতেন, "আমার বাংলাদেশ। আমার বাংলাদেশ।" আমরা গভীর মুগ্ধতায় তাঁর আবেগ এবং উচ্ছ্বাস দেখতাম। তাঁর নাম আহমদ ছফা। আমাদের সবার ছফা ভাই।" (আহমদ,২০০৯ সংগৃহীত; খান, ২০১৮) স্বাধীনতার ৪৭ বছর শেষে একটা বড়সড় গোলমাল হয়ে গেছে। এ দেশের জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা (Nationalism) ১ম এবং ২য় জেনারেশনের মধ্যে কমপক্ষে তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। তারই সূত্র ধরে এ দেশের নতুন Millennials (৩য় জেনারেশন) নব্য সাম্রাজ্যবাদ এবং স্বাধীনতা ব্যবসায়ীদের কবলে পড়ে জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা হ য ব র ল পাকিয়ে ফেলেছে। Y generation এর কাছে জাতীয়তাবাদ এখন শুধু নেতিবাচক দিকই নয়, বরং ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের একটি রাজনৈতিক মাধ্যম বিশেষ যাকে সকাল বিকাল গালি না দিলে নিজের জাতের উন্নয়ন সাধিত হয় না। দুঃখজনক হলেও সত্য, তাঁরা যে আদর্শ জাতীয়তাবাদ এবং দেশপ্রেমের আশাবাদ ব্যক্ত করে তা শুধু ইউটোপিয়ান-ই নয়, পৃথিবীর গত ৪০০...